স্বদেশ ডেস্ক:
আলোচিত শিখ নেতা গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত এক ভারতীয় কর্মকর্তার নাম প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট। তবে আজ মঙ্গলবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ভারত।
গতকাল সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে ওয়াশিংটন পোস্ট দাবি করে, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিটিক্যাল উইং’ (র) এই হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত। এই সংস্থার কর্মকর্তা বিক্রম যাদব একটি ভাড়াটে দলকে গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুকে হত্যার নির্দেশ দেন।
এর আগেও খালিস্তান আন্দোলনের নেতা গুরপতওয়ান্ত সিংকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে শীতল সম্পর্ক তৈরি হয়। ওয়াশিংটন জানিয়েছে ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের সাথে কাজ করা একজন ভারতীয় নাগরিক একজন খুনিকে প্রায় এক লাখ ডলারে ভাড়া করেছিলো মার্কিন ভূখণ্ডেই ওই শিখ নেতাকে হত্যার জন্য। তবে ভারত এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নু যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার দ্বৈত নাগরিক। নিউইয়র্ক ভিত্তিক এই আইনজীবী এক সময় ‘শিখস্ ফর জাস্টিস’ নামে একটি সংগঠনের মুখপাত্র ছিলেন।
ওই সংগঠনটি একটি স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র খালিস্তান গঠনের প্রচারাভিযান চালানোর কারণে ভারত সরকার তাদের ২০১৯ সালে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
অভিযোগ ওঠার পর দিল্লি জানায় তারা আইন লঙ্ঘনের জন্য পান্নুকে মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় রেখেছে, কিন্তু তাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে তারা।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভাড়াটে দলকে পান্নুনের বাসার ঠিকানা পাঠিয়েছিলেন যাদব। এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সংস্থার অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তারাও।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী সেসময় র এর প্রধান সামান্ত গোয়েল এর অনুমোদনের পরই পান্নুনকে হত্যাচেষ্টা করা হয়।
ওয়াশিংটন পোস্টের অনুসন্ধানেও বেরিয়ে এসেছে এমন তথ্য। এই অভিযান সম্পর্কে জানেন এমন ভারথীয় নিরাপত্তা কমকর্তারা বলেছেন, বিদেশে অবস্থানরত শিখ নেতাদের নিবৃত্ত করার প্রবল চাপ ছিল গোয়েলের ওপর।
বিষয়টি নিয়ে গোয়েলের সঙ্গে ওয়াশংটিন পোস্ট যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দেননি।
মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, এই প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অযাচিত দাবি করেছে। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে এখনো তদন্ত চলমান।